মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সম্প্রতি একটি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে, যার আওতায় দেশের সকল মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল-রিলেটেড জেন্ডার-বেসড ভায়োলেন্স (SRGBV) প্রতিরোধে শৃঙ্খবদ্ধ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ।
কী আছে নতুন গাইডলাইনে?
- এসএইচপিসি কমিটি গঠনঃ প্রতিটি মাধ্যমিক স্কুলে ‘সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট প্রিভেনশন কমিটি’ বা জেন্ডার-ভিত্তিক হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই কমিটি সক্রিয়ভাবে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধের জন্য কাজ করবে।
- মনোসামাজিক সহায়তা ও সেবা সংযোগঃ ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মনোসামাজিক সহায়তা দিতে হবে। যদি কোনো শিক্ষার্থী ওই প্রতিষ্ঠানে সাপোর্ট না পায়, তাহলে তাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট রেফারেল পাথওয়ে এর মাধ্যমে টেলি-কাউন্সেলিং বা মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রোভাইড করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সার্ভিস ম্যাপিং সংরক্ষণ করতে হবে — যেখানে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কী কী সেবা পাওয়া যায়, তা স্পষ্ট থাকবে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধান তা সরবরাহ করবেন।
- সার্ভিস প্রোভাইডার তালিকাঃ প্রতিষ্ঠানের আশেপাশের মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, মনোবিজ্ঞানী বা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হালনাগাদ তালিকা রাখা বাধ্যতামূলক; শিক্ষার্থী, অভিভাবকের সম্মতি সাপেক্ষে প্রাসঙ্গিক সেবা প্রদান করা হবে।
এই নির্দেশনাগুলো লার্নিং অ্যাক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন (LACE) প্রকল্পের আওতায় কার্যকর করা হবে। এটি বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় অক্টোবর ২০২৩ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত সময়ের জন্য মাউশির অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে। গাইডলাইন তৈরির পর তা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ অনুমোদিত হয়েছে ।
এই কর্মসূচি শুধুমাত্র সহিংসতা রোধই নয়, বরং এটিই বাংলাদেশের এসডিজি-৪ (Sustainable Development Goal 4) অনুযায়ী ইত অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গুণগত শিক্ষার নিশ্চয়তা রক্ষায় তোলে কেন্দ্রীয় ভূমিকা। মাউশি থেকে সব মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের গাইডলাইন বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ।


0 Comments