
একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির ক্ষেত্রে এডুকেশন কোটা (ইকিউ-১ ও ইকিউ-২) নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। রোববার (২৪ আগস্ট) পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ভর্তির সময় বৈধ প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা যাবে না। যেসব শিক্ষার্থী যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও এ কোটায় আবেদন করেছে, তাদেরকে দ্রুত শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে আবেদন বা নিশ্চয়ন বাতিল করতে হবে। পরে তারা চাইলে সাধারণ নিয়মে নতুনভাবে আবেদন করতে পারবে।
কোটার যোগ্যতা
- ইকিউ-১ (এডুকেশন কোটা-১): শুধুমাত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সরাসরি কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তানরা এই কোটায় আবেদন করতে পারবেন।
- ইকিউ-২ (এডুকেশন কোটা-২): শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন ২৮টি দপ্তর ও সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানরা এ সুবিধা পাবেন। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সরকারি স্কুল, সরকারি কলেজ, সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সরকারি শিক্ষা অফিসে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানেরাও অন্তর্ভুক্ত।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনেক অযোগ্য শিক্ষার্থী ভুয়া তথ্য দিয়ে এ কোটায় আবেদন করছে। ভর্তি প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ঠেকাতে তাই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের আবেদন শেষ হয়েছে ১৫ আগস্ট। দ্বিতীয় ধাপের আবেদন চলছে ২৩ আগস্ট থেকে, যা শেষ হবে ২৫ আগস্ট রাত ৮টায়। প্রথম ধাপে প্রায় ১০ লাখ ৭৩ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করলেও ২৫ হাজারের বেশি কোনো কলেজে স্থান পায়নি। বোর্ড জানিয়েছে, সঠিক যোগ্যতা যাচাই ছাড়া এডুকেশন কোটায় ভর্তি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
0 Comments